স্বপ্ন দেখতে অনেকেই পছন্দ করেন, কেউ রাতে ঘুমিয়ে আবার কেউ জেগে জেগে । আমি
একজন সপ্ন বিলাস মানুষ তার কারণ হচ্ছে এমন কোনো রাত নেই যেদিন আমি ঘুমালে
স্বপ্ন দেখি না । এমন একটা সময় ছিল স্বপ্নের কথা বন্ধুদের বলতাম কিন্তু
একসময় দেখলাম তারা সবাই আমার সপ্নের কথা শুনে বিরক্ত আর এখন তো আমাকে তাদের
ধারে কাছে ও ভিড়তে দেয় না । তাই স্বপ্ন বলার কোনো মানুষ পাই না । আজ
ভাবলাম bishorgo ব্লগ যখন পাইছি তাইলে একটু আমার স্বপ্নের কথা বলি ।
সেদিন ছিল ২০০৯ সাল, ছিল ভরা পূর্নিমা রাত, ছাদে ঘুরে ফিরে ঘুমাতে গেলাম
রাত ১১.১০ মিনিটে । সেদিন ঘুমের মধ্যে যা সপ্নে দেখলাম তা ই বলবো আপনাদের ।
দেখলাম আমি ফুল বাগানে ঘুরে বেড়াচ্ছি, আমার সাথে এক হুর পরী আমাকে প্রেম
নিবেদন করছে । আমি পরীকে প্রশ্ন করি তুমি কোন দেশ থেকে এসেছ ? সে বলে তুমি
জাননা ? আমি বললাম না, ও অবাক হলো , তারপর বলল আমি জিন দেশ থেকে এসেছি ।
আমি বললাম তাহলে তুমি আমাকে কিছু একটা দিয়ে যাও, সে বলল আমার একটা বই তোমার
কাছে আছে । আমি বললাম কি , কোন বই, সে বলল আরে বোকা তোমাদের ধর্ম গ্রন্থ ,
ওটা আমাদের ই দেয়া । তারপর হঠাত বৃষ্টিতে ঝর উঠলো, স্বপ্ন ভেঙ্গে গেল, এক
গ্লাস পানি খেলাম, ভয় লাগলো, দু তিন দিন স্বপ্ন টা নিয়ে ভাবলাম কিন্তু কিছু
বুঝতে পারলাম না । গত ২০১১ তে যখন স্বপ্নটার কথা মনে পড়ল তখন যা বুঝলাম তা
হলো
মানে এখন স্বপ্নের তর্জমা দিতাছি
যদি আমাদের যা ধর্ম গ্রন্থ তা জিনদের (এলিয়েন দের ) রাজ্য চালানোর সংবিধান হয় ? তাহলে কেমন হবে ?
একটা রাজ্য চালাতে গেলে প্রজা লাগে, প্রজা ছাড়া রাজ্য কল্পনা করা যায় না ।
একটা রাজ্য চালাতে গেলে সংবিধান লাগে , সংবিধান ছাড়া রাজ্য কল্পনা করা যায়
না ।
রাজা যেমন প্রজা ছাড়া রাজ্য চালাতে পারে না, তেমনি জিনরাও মানুষের ওপর ভর
করা ছাড়া এই পৃথিবীতে চলতে পারে না । সেই কারণেই অনেক মানুষের সাথে জিনদের
দেখা হয় এসব গল্প আমরা আগেও অনেক শুনেছি । কবিরাজ, পীর. দরবেশ এই ধরনের
লোকজন জিন পালে ।
এই জিনদের আবার অসাধারণ ক্ষমতা থাকে অনেক অলৌকিক কিছু করার, আসলে এরা হচ্ছে
একটা অ্যাডভান্সড civilization, যারা টেকনোলজি এর দিক দিয়ে আমাদের থেকে
হাজার গুন এগিয়ে, তাই তারা এসব পারে । আপনারা প্রায়ই শুনে থাকবেন ধর্ম
গ্রন্থ কে অবমাননা করলে বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনা ঘটে, এই অলৌকিক ঘটনা গুলো আসলে
এই জিনরা ঘটিয়ে থাকে । আর আমরা তারে কি মনে করি ? আর কি প্রচার করি ?
সেইটা নাই বললাম ।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জগতে পারে তাহলে এরা আমাদের মানুষ সমাজের সাথে একই
সাথে বসবাস করে না কেন ? যেমনটা করে পাখি, হাতি ও অন্যান্য জাতি । যদি এরা
একই সাথে বসবাস করে তাহলে তাদের সংবিধান ও রাজ্য থাকবে না ফলে তাদের রাজত্ব
ও থাকবে না, তাহলে কোনো রাজা কি রাজত্ব হারাতে চাইবে ?
আজকে কি জানি একট ব্লগ পোস্টে লিখল কোন পীর নাকি ৪০ দিনের মধ্যে কাকে দেখাই
দিতে পারবে ? আরে আপনারে একটা জিন দেখাই দিবে আর বলবে এইটা তোমার সৃষ্টি
কর্তা বা এইটা ফেরেস্তা বা আরো অলৌকিক কিছু দেখায়া বলবে আরো কত কিছু ।
আমাদের দেশে একটা গ্রুপ আছে ধার্মিক এরা আসলে এই জিনদের গোলাম, এরা যে
জিনদের (এলিয়েন দের ) গোলামী করতেছে তা কিছুতেই বুঝতেছে না, কেন বুঝতেছেনা ?
কারণ জিনদের অলৌইকিক কান্ড কারখানাতে এরা ভিত ও পরাভূত মানে পোষ মানা ।
যদি কোনো একটা জাতি কে আপনি পোষ মানাতে পারেন , যেমন হাতি তাহলে সে আপনার
গোলাম হয়ে যাবে ।
আরেকটা গ্রুপ আছে এরা ধর্ম মানে না ও ধার্মিক না , এরা খালি তর্ক করে,
এখানে সেখানে এদের তর্কের জালায়ে টিকা যায় না । আর এরা হলো বড় মুর্খ , কারণ
এরা খুব বেশি পড়ালেখা করেনা, যেটুকু জানে তা নিয়েই তর্ক করে , সুধু তর্ক
করে, এরা বুঝে না পোষ মানা প্রানীকে বন্য করা সম্ভব না যতখ্খন পর্যন্ত ওই
প্রাণীটি অনুধাবন করতে না পারে যে সে পোষ মানা, তর্ক যেতা আর অনুধাবন
কিন্তু এক নয়, এরা বুঝেনা যাকে এরা বুঝাচ্ছে সে তো বুঝতে পারছে না , কেন
বুঝতে পারছে না তা এই তর্ক কারী বুঝতে পারছে না ।
আরেকটা গ্রুপ আছে যারা খালি প্রেম বিরহ নিয়ে কবিতা আর গল্প লিখে , কবিতা আর
গল্প ছাড়া দুনিয়ার কিছু বুঝে না । এরাও এক ধরনের ঘোরের মধ্যে থাকে , এরা
খুজার চেষ্টা করেনা যে প্রেম বিরহ এরা বুঝে তার উত্পত্তি কোথা থেকে, এই
প্রেম উত্পত্তি ও ধর্ম বা এলিয়েন থেকেই , এলিয়েনরা প্রেম এর উপর অনেক শর্ত
আরোপ করেছে, যেমন প্রেম একজনকেই করতে হবে, তার জন্য বিরহ করতে হবে । একবার
ভাবুন তো সারা দুনিয়ার সবার সাথে প্রেম করলে অসুবিধা কি ? প্রেম ঘটিত যেসব
কারণে আমরা জালা যন্ত্রণা ভুগ করতেছি , একবার ভাবুন যদি এইসব নিয়ম না থাকত
তাহলে কি এইসব জালা যন্ত্রণা থাকত ? এই জালা যন্ত্রণা সৃষ্টি করা হয়েছে ,
এইবার বুঝলেন কিছু ?
অনলাইন এ কোন একটা সাইটে পরেছিলাম এলিয়েনরা আমাদের গ্রহ কে অনেক অনেক দিন
ধরে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করতেছে, আর ইংরেজি সিনেমা তে এত এলিয়েন এলিয়েন
করে কেন ? বেপারটা বুঝলেন কিছু ? এই জিনরা ই হইল এলিয়েন । এরা আমাদের
গ্রহের না, আমাদের জাতের না , যদি আমাদের গ্রহের হইত তাহলে আমাদের দুঃখ
বুঝত । এখন বলেন একটা এলিয়েন এর দেয়া ধর্ম মতে আমাদের চললে তা আমাদের মতে
ভালো হবে নাকি ? যদি সত্যি দয়াময় কেউ থাকত তাহলে মানব জাতির এত দুঃখ কষ্টে
এগিয়ে না এসে থাকতে পারত ?
এই সহজ মিথ টা যে দেশ বা দেশের মানুষ বুঝতে পারে সেই দেশটাই উন্নত হয়ে যায়
আর যারা বা যে দেশ টা বুঝতে পারে না তারা জিনের আছরের মধ্যে পইরা থাকে ।
মানে একটা ঘোরের মধ্যে পইরা থাকে । কোন কোন দেশ কেন এত উন্নত ? মানুষ কেন
এত উন্নত জীবনযাপন করে ? আপনাদের কি ধারণা ওরা কেবল শয়তানের বা অসুরের
প্রভাবে এসব করে , আরে না ওরা জেনে বুঝেই করে, ওরা এই মিথটা জানে বলেই
নিজেদেরকে জিনের আছরের থেকে মুক্ত করতে পেরেছে ।
তাহলে এখন বলতে পারেন আপনি এইটা বুঝলেন ? আমাদের দেশের বুদ্ধিমান লোকরা তা
বুঝলো না কেন ? আমাদের দেশের যারা বুদ্ধিমান তাদের প্রবলেম আছে , ওরা যদি
সত্যিকারের বুদ্ধিমান হইত তাহলে দেশটা উন্নত হইত । কিন্তু ওরা মানে আমাদের
দেশের বুদ্ধিমান লোকরা অল্প কয়েকটা বই পড়ে বিদ্যা জাহির করে । আর উন্নত
দেশে মানুষেরা নিজেরা জিনের আছর মুক্ত হয়ে সরকারকে বাধ্য করে উন্নত করতে
দেশ টাকে । আমাদের উন্নতি কি জিনরা করে দিয়ে যাবে ?
এখন কিছু ধার্মিক লোক বলবেন সৃষ্টি কর্তা আমাদের জন্ম বা সৃষ্টি দিয়েছে ,
হা দিতে পারে বা নাই পারে কিন্তু কর্ম দিবে কে ? কর্মের জন্য তো মানুষের
উপর ই নির্ভর করতে হয় । তাহলে যে কেবল জন্ম দিল কর্ম দিল না তার জন্যে এত
পাগল কেন ?
আরেকটা গ্রুপ আছে যারা বলে এলিয়েন নাম কেবল শুনেই আসলাম কিন্তু কোনদিন নিজ
চোখে দেখলাম না । আরে গাধা আমরা এলিয়েন (জিন ) দ্বারা আমাদের জীবনযাপন সব
কন্ট্রোল করছি তাও আপনি এলিয়েন খুঁজে পান না ?
যদি এখন কিছু বুঝে থাকেন তবে একবার নিজেকে প্রশ্ন করেন , আচ্ছা আমরা তাহলে
কি করতেছি । আর শুনেন আপনাদের কে এত বুঝানো সম্ভব না , এইবার নিজে কিছু
বুঝার চেষ্টা করেন ।
আর পীর ফকির দের আড্ডা হলো এলিয়েনদের আড্ডা, এইবার বুঝলেন ? তবে আমরা মানুষেরা যেহেতু সর্ব শ্রেষ্ঠ তাই আমরা বলব
আসেন সকল জাতি, দেশী আর ভিন জাতি আর জিন জাতি সবাই মিলে একসাথে শান্তিতে বাস করি । আর একটু প্রেম করি ।
এই তর্জমা শেষ হইলো
আমার এই স্বপ্ন ও স্বপ্নের তর্জমা যখন আমার নতুন বান্ধবীকে সুনালাম সে কইলো
, যা দুষ্টু তাও আবার হয় নাকি ? তুমি না ইদানিং একটু বেশি দুষ্টু হয়ে গেছ ।
লেখাটি আগে এখানে প্রকাশিত ।
আমার আরো একটি লেখা পড়তে পারেন এখান থেকে
একটি অসাধারণ বই (The Biggest Secret-by David Icke) জেনে নিন এই পৃথিবীর হাজার বছরের অজানা ইতিহাস