আজকের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে কিছু বলবার আগে ব্যভিচার এবং ধর্ষণের পার্থক্য সম্পর্কে কিছুটা আলোকপাত করতে চাই। যদিও অনেকে আমার চাইতে বেশি জ্ঞান রাখেন, তারপরও আলোচনার সুবিধার্থে কিছু বলার প্রয়োজন বোধ করছি। স্বেচ্ছায় অবৈধ যৌন সম্পর্ক করাকে ব্যভিচার বলা হয়। এটি একটি সম্পর্ক হলেও ধর্মীয় দৃষ্টিতে যা অবৈধ, আর তাই এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ বটে। আল-কোরআন অনুসারে ব্যভিচারের শাস্তি কি এবং এর সাথে জড়িতদের কেন শাস্তি দেবার কথা বলা হয়েছে পরবর্তীতে সে বিষয়ে আলোচনা করার আশা রাখি। ব্যভিচারের সামাজিক, আত্মিক এবং স্বাস্থ্যগত বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে নুতন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। ব্যভিচারের' মত 'ধর্ষণ' কিন্তু বৈধ বা অবৈধ কোন প্রকার সম্পর্কের মধ্যেই পড়ে না। বরং এটি একটি পাশবিকতার নামান্তর। তাই ধর্ষণকে ব্যাভিচারের সাথে সম্পৃক্ত না করে সন্ত্রাস বা বিপর্যয় সৃষ্টিকারী কারন গুলোর সাথে বিবেচনা করার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে- সম্প্রতি প্রকাশিত এক সংবাদে এর উত্তর পেয়ে যাবেন- * কঙ্গোতে প্রতিদিন এগারো শতাধিক নারি ধর্ষিত হচ্ছে-
ধর্ষণকে যে সন্ত্রাস বা বিপর্যয়কর অবস্থা সৃষ্টির সাথে তুলনা করা মোটেই অযৌক্তিক নয় তা নিশ্চয় এতক্ষণে পরিষ্কার হয়েছে। ডাকাতি বা ছিন্তাই করার সময় যেমন নিরীহ মানুষের সম্পদ লুন্ঠন করা হয়। তেমনি জোরপূর্বক নারীর সতীত্ব হরণ বা লুণ্ঠন করা হলো ধর্ষণ। তাই আল-কোরআনে ধর্ষণের কথা ব্যভিচারের পাশাপাশি তো বলাই হয়নি, এমনকি আলাদা ভাবেও উল্লেখ করা হয়নি। আর এ কারনেই এটিকে ডাকাতি, ছিন্তাই, রাহাজানি, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, জুলুম,ইভ-টিজিং, রাষ্ট্রদ্রোহিতা ইত্যাদি ভূপৃষ্ঠে জনগনের ক্ষতি করা, অস্থিতিশীলতা বা বিপর্যয়কর অবস্থা সৃষ্টির মত অমানবিক কুকর্মের সমপর্যায়ভুক্ত জ্ঞান করাটাই যুক্তিসংগত। এখন প্রশ্ন হলো- যে ধর্ষণের কারনে কঙ্গোর মত বিপর্যয়কর অবস্থা সৃষ্টি হয়, তার হাত থেকে পরিত্রাণের উপায় কি? বিভিন্ন জনে তাদের মত করে মতামত রাখতেই পারেন। একজন মুসলিম হিসেবে সঙ্গত কারনেই আমি আমার ধর্মীয় বিশ্বাস ও বিধান, বর্তমান প্রেক্ষাপট ও নিজস্ব চেতনার আলোকে কিছু বক্তব্য রাখার অধিকার রাখি। অনেকের মনেই হয়ত এ প্রশ্ন দানা বেধেছে- আল-কোরআনে ধর্ষকদের শাস্তি সম্পর্কে কোন নির্দেশনা আছে কি? ধর্ষণ সহ বিপর্যয়কর অবস্থা সৃষ্টিকারী এসব অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত থাকবে, আল-কোরআন অনুসারে তাদের শাস্তি হলো- নিচের হাদিছ থেকে এ সম্পর্কে আমরা আরও পরিষ্কার ধারনা পাই- আল-কোরআনের ৫ নং সূরা মায়েদার- ৩৩ নং আয়াতে এই ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ডের কথা বলা হয়েছে। উপরে বর্ণিত হাদিছটিতে সেই নির্দেশেরই প্রতিফলন ঘটেছে। প্রকৃত ইসলামি সমাজ ব্যবস্থায় (পাকিস্থান, বাংলাদেশ বা সৌদির মত নয়) ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। যদি কদাচিত ঘটেই যায়, তাহলে অবশ্যই ধর্ষককে শাস্তি ভোগ করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে হাদিছে বর্ণিত প্রেক্ষাপট অনুসারে ধর্ষক ও ধর্ষিতা সম্পর্কে সার্বিকভাবে যে ধরনের ইংগিত পাওয়া যায় সেদিকেও লক্ষ রাখা উচিত। ঘটনার সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় যদি মোটামুটি একই রকমের সামঞ্জস্য পরিলক্ষিত হয়, তাহলে বর্তমানে কিংবা ভবিষ্যতেও আল-কোরআনের নির্দেশ এবং রাসূলে (সাঃ) সুন্নাত মেনে এই শাস্তি দিতে হবে। আর এই শাস্তি হলো ‘রজম’ অর্থাৎ জনসম্মুখে বুক পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে পাথর মেরেই ধর্ষকের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে হবে। আমি আইন বিষয়ে অভিজ্ঞ নই। তাই বিস্তারিত বিবরনে যাব না। তবে নিজের চিন্তা-চেতনা ও যৎসামান্য অর্জিত জ্ঞান অনুসারে দুটি উদাহরন দিলে বোধ হয় বিষয়টি কিছুটা পরিষ্কার হবে। যেমন, আজকাল প্রায়ই বাচ্চা মেয়েদের ধর্ষণের খবর পত্রিকার পাতা খুললেই চোখে পড়ে। বিষয়টি যে খুবই বেদনাদায়ক ও অমানবিক তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আবার তেমনি আপন গৃহে বা কর্মক্ষেত্রে একা পেয়ে যদি কোন পর্দানশিন নারীকে কেউ ধর্ষণ করে- তাহলে উভয় ঘটনার ক্ষেত্রে ধর্ষককে রজমের শাস্তিই দিতে হবে। কিন্তু যখন এটি শুধুমাত্র ধর্ষণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে না, বরং নিরপরাধ নারী বা নিষ্পাপ কচি শিশুটির কোমল দেহখানা খন্ড খন্ড করে কেটে বা গলা টিপে মেরে ফেলে, তখন পার্থিব কোন শাস্তি দিয়ে কি এর যোগ্য বিচার ও শান্তনা পাওয়া সম্ভব? শূলীতে চড়িয়ে পাথর মেরে মেরে মৃত্যুদন্ড দিলেও নিশ্চয় কম হয়ে যাবে। কিন্তু তারপরও যাদের অন্তরে এ ধরনের ব্যাধি রয়েছে তারা যেন ভয় পায় এবং নিজেদের শুধরে নিতে পারে, সেজন্য জনসম্মুখে শাস্তি তো কার্যকর করতেই হবে। এক্ষেত্রে ধর্ষিতার কোন শাস্তি নেই। কিন্তু এমন কোন মহিলা ধর্ষিত হলো যিনি পর্দা সম্পর্কে তো সচেতন ননই, বরং খোলা-মেলা পোষাকে রাত-বেরাত একা নির্জনে পথ চলতে অভ্যস্ত। এক্ষেত্রে ধর্ষককে কি সর্বোচ্য শাস্তি দেয়া ঠিক হবে? যে কোন পরিস্থিতিতে ধর্ষককে যে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। বিজ্ঞ বিচারকই অবস্থা ভেদে উপযুক্ত শাস্তি নির্ধারন করবেন। ধর্ষিতার কোন শাস্তি নেই বটে, তবে এই ধরনের পরিস্থিতিতে পর্দা সম্পর্কে সচেতন না থাকার কারনে এবং রাত-বেরাত একা একা নির্জনে অযথা ঘোরাফেরা করার জন্য তাকে তিরস্কার ও ভবিষ্যতের জন্য সাবধান করা মোটেই অযৌক্তিক নয়। ক্ষেত্র ও পাত্রের অবস্থা ভেদে শাস্তিরও তারতম্য হতে পারে বলেই তো সর্বজ্ঞ মহান আল্লাহতায়ালা ভিন্ন অপশনগুলো আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। 'ধর্ষণ' ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ বলেই তো পিশাচ রূপী ধর্ষকদের জন্য পার্থিব শাস্তিই সব নয়। পরকালেও তাদের জন্যে রয়েছে কঠিন আযাব। ইসলামে সর্ব প্রথমে মহান স্রষ্টা আল্লাহতায়ালার উপর ইমান আনার সাথে সাথে সকল প্রকার অসৎ, অশ্লীল ও মন্দ কর্ম পরিহার ও সৎ পথে চলার শিক্ষা ও দীক্ষা দেয়া হয়। তাই ইসলামী সমাজের সাথে সম্পৃক্ত কোন ব্যক্তি যদি এরপরও এ ধরনের পাশবিক কর্মে জড়িয়ে পরে, তাহলে তাকে শাস্তি দেয়া ছাড়া অন্য কোন অপশন নেই। হরস্ বলেছেন: জীবন বিধানের কুথাও ধর্ষন সম্পর্কে কিছু বলা নাই। তাইলে তো ধর্ষন জায়েজ হওয়ার কথা। ভুল কথা বলে মুমিন বান্দাদের বিভ্রান্ত করবেন না। আপনি বলেছেন- //কাজের মেয়েকে ধর্ষনও অমানবিক? বলিহারী আপনার যুক্তির।// যে পাকিস্থানের হানাদার বাহিনী আমাদের মা-বোনদের মান সম্মান, ইজ্জত লুটেছে-- তাদের কাছে একজন কেন-- হাজার মুখতার মাই কি জিন্দেগীভর তপস্যা করলেও সুবিচার পেতে পারে!!?? স্পন্দনই যদি না থাকে, তাহলে যতই আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করেন না কেন- কোন লাভ হবে না- ................................................................................................ অকুল বলেছেন- আপনার আলোচনায় কোন কিছু পরিস্কার নয়। কোরানের আল্লাহর ধর্ষনের শাস্তি কি দিয়েছে সেটা পরিস্কার করুন। এখানে এক রকম, অন্য যায়গায় অন্য রকম - এটা হলে সেটা কিভাবে আল্লাহর বিধান হয়? আল্লাহ কি মানুষের মত যখন তখন সিদ্ধান্ত পাল্টায় নাকি ? ................................. লেখক বলেছেন- যারা সন্ত্রাস বা বিপর্যয় সৃষ্টির অপচেষ্টা করে তাদেরকে কিরূপ শাস্তি দিতে হবে ক্যাটাগরিকালী আল- কোরানে আল্লাহতায়ালা তা পরিস্কারভাবে ব্যক্ত করেছেন। আল-কোরআন- ৫নং সূরা মায়েদা- আয়াত, ৩৩ (০৫:৩৩) যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং ভূপৃষ্ঠে সন্ত্রাস বা বিপর্যয় সৃষ্টির অপচেষ্টা করে, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হাত-পা বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা তাদেরকে দেশ থেকে নির্বাসিত করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি। (فَسَادً) = ধ্বংস, ক্ষতি -"কোরআনের অবিধান" - "মুনির উদ্দীন আহমদ" (فَسَادً) = ধ্বংস করে দেওয়া, নষ্ট করা, বলপূর্বক কারো সম্পদ কেড়ে নেওয়া - "আল-কাওসার" - "আধুনিক আরবী-বাংলা অভিধান"- "মদীনা পাবলিকেশান্স ডাকাতি বা ছিন্তাই করার সময় যেমন নিরীহ মানুষের সম্পদ লুন্ঠন করা হয়। তেমনি জোরপূর্বক নারীর সতীত্ব হরণ বা লুণ্ঠন করা হলো ধর্ষণ। তাই আল-কোরআনে ধর্ষণের কথা ব্যভিচারের পাশাপাশি তো বলাই হয়নি, এমনকি আলাদা ভাবেও উল্লেখ করা হয়নি। আর এ কারনেই এটিকে ডাকাতি, ছিন্তাই, রাহাজানি, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, জুলুম,ইভ-টিজিং, রাষ্ট্রদ্রোহিতা ইত্যাদি ভূপৃষ্ঠে জনগনের ক্ষতি করা, অস্থিতিশীলতা বা বিপর্যয়কর অবস্থা সৃষ্টির মত অমানবিক কুকর্মের সমপর্যায়ভুক্ত জ্ঞান করাটাই যুক্তিসংগত। যেহেতু আল-কোরআনের বিধানে এই ধরনের অপরাধের শাস্তির ক্ষেত্রে মৃত্যুদন্ড ছাড়াও আরও কয়েকটি অপশন (দেশ থেকে নির্বাসন, বিপরীত দিক থেকে হাত-পা কর্তন ও শূলীতে চড়ানো) দেয়া হয়েছে। তাই সবার ক্ষেত্রে একই শাস্তি নয়, বরং ক্ষেত্র ও পাত্র ভেদে শাস্তিরও তারতম্য হতে পারে। ধর্ষকের নিজস্ব স্বীকারোক্তি সাপেক্ষে তার শাস্তি যে মৃত্যুদণ্ড, তাতে কোন সন্দেহ নাই। তবে ক্ষেত্র বিশেষে ধর্ষিতার পূর্ব এবং বর্তমান স্বভাব চারিত্র খতিয়ে দেখার মাধ্যমে ধর্ষকের শাস্তির পরিমান নির্ধারণের বিষয়টি বিবেচনা করার অবকাশ রয়েছে। ধন্যবাদ- ............................................................................................ মূর্খ বলেছেন- ভাই, //তেমনি জোরপূর্বক নারীর সতীত্ব হরণ বা লুণ্ঠন করা হলো ধর্ষণ।// এই "সতীত্ব" বলতে আপনি কি বুঝিয়েছে ? ইসলামে একজন ধর্ষিতা কিভাবে তার ধর্ষন প্রমান করবে তার বিষয়ে কোরানে কি বলা আছে তা এড়িয়ে গেলেন কেন? নাকি প্রমান না করেই শাস্তির দেওয়ার বিধান আছে? ............................................. লেখক বলেছেন- না ভাই এড়িয়ে যাব কেন! আমি যা বিশ্বাস করি- তা অন্ধের মত নয় বরং বুঝেই করি। "সতীত্ব" হরণ বা লুণ্ঠন করা বলতে মূলত অবৈধ উপায়ে এবং জোর করে একজন নারীর যৌন পবিত্রতা বা যৌন বিশুদ্ধতা এবং ইজ্জত বা সম্ভ্রম নষ্ট করাকেই বোঝাতে চেয়েছি। আল-কোরআনের বাণী চিরন্তন সার্বজনিন। এটি কোন বিশেষ সময়ের জন্য সীমাবদ্ধ নয়। ইসলাম গতিশীল ধর্ম। তবে এই গতিশীলতা লাগামহীন নয়। সবযুগেই জ্ঞানী ও চিন্তাশীল ইমানদার মানুষেরা পবিত্র কোরআনের ঐশী দিকনির্দেশনার আলোয় এই গতীকে নিয়ন্ত্রণ কোরে সঠিক পথের দিশা দেখান। ভাই, আল-কোরআন ইমানদার মানুষের জীবন বিধান। এটি নিছক কোন বিজ্ঞানের বা আইনের পুস্তক নয়। তাই এতে এ সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরন না দিয়ে বরং জীবনঘনিষ্ট বিষয়াদি সম্পর্কিত স্রষ্টা প্রদত্ত সিঠক মৌল দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে মাত্র। এই শাশ্বত মৌল দিকনির্দেশনার আলোকে জ্ঞান-বিজ্ঞনা চর্চা করা কিংবা আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা রাক্ষা করাই মুসিলম জ্ঞনী ও চিন্তাশীল ব্যক্তিবর্গের প্রধান কাজ। //ধর্ষিতা কিভাবে তার ধর্ষন প্রমান করবে?// ধর্ষন প্রমাণ করা ধর্ষিতার কাজ নয়। ইসলামের দৃষ্টিতে তিনি জুলুমের শিকার অর্থাৎ মজলুম। আর মজলুমকে সহায়তা করার জন্য বিশ্বাসীদের প্রতি আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (সাঃ) নির্দেশ দিয়েছেন। তাই এই ধরনের অপকর্ম সমাজ থেকে নির্মূল করার জন্য যারা বিশেষ ভাবে নিয়োজিত আছেন তাদের প্রধান দায়িত্ব হলো সেই ধর্ষিতা মজলুম নারীকে সর্ব প্রকার সহায়তা করা। শুধু তাই নয় মজলুম যেন ন্যায্য বিচার পায় সেই ব্যাপারে সকল মুসলিসমকেই সজাগ থাকতে হবে এবং সাধ্যমত সহায়তা করতে হবে। দাঙ্গা-হাঙ্গামা, জুলুম, রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্তদের দোষ প্রমাণের জন্য যেমন সকল প্রকার আধুনিক ব্যবস্থা গ্রহণেযাগ্য, তেমনি যদি কোন ইমানদার নারী ধর্ষিত হয়েছেন বলে দাবি করেন তাহলে প্রথমত তা সত্য বলেই ধরে নিতে হবে। তিনি যদি ধর্ষক/ ধর্ষকদের চিনতে পারেন তাহলে তার সাক্ষীকেই সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দেয়া হবে। তারপর সেই ধর্ষক/ ধর্ষকরা যদি দোষ স্বীকার না করে তাহলে তাদের দোষ প্রমাণের জন্য ধর্ষিতা ও ধর্ষকের দৈহিক ও পারিপার্শ্বিক সকল প্রকার আলামত সংগ্রহ এবং আধুনিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় কোনই বাধা নেই। এমনকি 'ডিএনএ' পরীক্ষা করার দরকার হলে তাও করতে হবে। ধন্যবাদ-
|
|||
Rate This |
||
|
সালাম
এ নিয়ে নিভর্রযোগ্য ফতোয়া সম্পর্কে জানালে খুশী হবো । কুরআন তাফসীরে কিছু কি বলা হয়েছে ?
ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহ্------
যেসব বিষয় সম্পর্কে আল-কোরআনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি, সে ব্যাপরে ফতোয়া খোঁজার প্রয়োজন হতে পারে।
কিন্তু জীবন ঘনিষ্ট যে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে আল-কোরআনে সুস্পষ্ট বিধান বর্তমান, তার বাহিরে ভিন্নরূপ ফতোয়া দেবার অধীকার কি কাউকে দেয়া হয়েছে? এবং আল-কোরআন পরিপন্থি কোন ফতোয়া দেয়া এবং তা মানা কি জায়েজ হতে পারে?
ধন্যবাদ-
সালাম
হাদীসে পাথর ছুড়ে মারার আদেশ এসেছে অথচ কুরআনের সুরা মায়িদায় অন্য শাস্তির কথা বলা হয়েছে ।
বিখ্যাত কোন তাফসিরবিদ , মুফতি এ নিয়ে কোন ব্যাখ্যা দিয়েছেন ?
ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহ-----
অনুগ্রহকরে আগে এই লেখাটি পড়ে দেখুন-
আল-কোরআন অনুসারে ব্যভিচারের শাস্তি কি রজম?
এরপর বাকিটা আলাপ হবে, ইনশাল্লাহ
ধন্যবাদ
সাথে এই পোষ্টটিও দেখে নেয়ার অনুরোধ রইল-
আপনি কি 'কুরআন-অনলি' নামক ভ্রান্ত দলের অনুসারী?