হঠাৎ করেই রাজনীতির ময়দানে নতুন ট্রাম্পকার্ড পীর সাহেব চরমোনাই। সহিংসতা নিরসনে তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় (?) মানববন্ধন কিন্তু সহিংসতা নিরসনে যে আ.লীগের পতন প্রয়োজন সেটা তার বক্তব্যে ফুটে উঠেনি। বরং বিএনপি জামাতকে সহিংস প্রমানই ছিল তার কথার লক্ষ্য! তিনি সরকারকে যতটা কথা বললেন তার চেয়ে বিএনপি জামায়াতকে বেশী বললেন। এটা চরমোনাইদের মানববন্ধন নাকি আ.লীগের কোন অঙ্গ সংগঠনের মানব বন্ধন বুঝা বড় মুশকিল! আসলে পীরগীরির মূল দর্শনই হলো সরকারের লেজুড়বৃত্তি! পীর সাহেব চরমোনাইকে আমরা রাজনৈতিক ময়দানে স্বাগত জানিয়েছিলাম ইসলামী আন্দোলন ও সংস্কৃতিকে সমুন্নত রাখতে! কিন্তু তিনি কেবল জামাতের বিরোধিতা করতে গিয়ে পরোক্ষ ভাবে এমন শক্তিকে সমর্থন করছেন যারা শাইখুল হাদীস আল্লামা আযীযুল হককে জেলের ভাত খাইয়েছে, মুফতী আমীনীকে গৃহবন্দী রেখেছে, জুনাইদ বাবুনগরীকে রিমান্ডে নির্যাতন করেছে, হেফাজতের হাজারো নেতাকর্মী খুন করেছে! কুরআনের পাখি আল্লামা সাঈদী সাহেবকে কারাগারে বন্দী রেখেছে । তাদের মন্ত্রীরা প্রতিনিয়ত ইসলামকে আঘাত করেই চলেছে! এর পরেও পীর সাহেবের জামায়াত বিরোধিতা গেল না! হেফাজত মার খাওয়ার পর জামাত বিরোধীতার ব্যাপারে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কিছুটা বদলেছে, পীর সাহেবও বদলাবেন তবে মার খাওয়ার পর! কথায় আছে, ঠেলার নাম বাবাজী !!
|
|||
Rate This |
||
|